অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাতের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষককে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক।
এ ঘটনায় অভিভাবকসহ এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন।
শাকিল আরাফাতের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেছে ছাত্রীরা। এর আগে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে তারা।
জেলা প্রশাসক কিসিন্জার চাকমা আন্দোলনরত ছাত্রীদের আশ্বস্ত করেন।
দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ ঘটনার পূণরাবৃত্তি না হওয়ার ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
ঘটনা তদন্তে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমীন আক্তারকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটি আগামী ৩ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার দায়ের করেছেন। ওইদিন বিকালে তাকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শেখপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার শাকিল আরাফাতকে চুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে হাজির করা হয়েছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিল আরাফাতের কাছে তার ভাড়া বাসায় প্রাইভেট পড়তো। গত ৫ আগস্ট অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের কিছু খাতা দেখে দেওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আসতে বলেন। সকালে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ছাত্রীকে তার বেড রুমে নিয়ে শ্লীলতহানির চেষ্টা করেন।
এমন ঘটনা শুধু একদিন বা একটি শিক্ষার্থীর মধ্যে দিয়ে সীমাবদ্ধ থাকেনি। প্রায়ই এমন কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের আরো কিছু শিক্ষার্থী। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা স্কুলে নিরাপত্তা চায়। পড়াশুনার স্বাভাবিক পরিবেশ চায়। শিক্ষক শাকিল আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম চালিয়ে আসলেও ভয়ে মুখ খোলেনি ছাত্রীরা। এবার তার শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ওই শিক্ষকের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে একটি মহলের অপতৎপরতা বন্ধের দাবি তুলেছে তারা।
Leave a Reply